এম, এ, মান্নান।।
দৈনিক ভোলাটাইমস্ ::ঢাকাস্থ ভোলা জেলা “স্মার্ট ইয়ূথ ফোরাম” নামের একটি সংগঠন
জেলে ও দু:স্থদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল বিতরনে অনিয়ম প্রতিরোধে মন্ত্রনালয় থেকে খাদ্য বা চালের পরিবর্তে অর্থ প্রদানের দাবিতে মানববন্ধন করেছে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে প্রধান বক্তা অ্যাডভোকেট মহিবুল্লাহ বলেন, জেলে ও দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল বা অনুদানের তালিকা উপজেলার ওয়েবসাইটে বা উপজেলা মিডিয়া সেলে প্রকাশ করতে হবে। জেলে ও দো:স্থ মহিলাদের তালিকা সংশোধন ও পরিমার্জন করে হালনাগাদ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, যেকোন অনিয়ম প্রতিরোধে চাল বা খাদ্যের পরিবর্তে অর্থ প্রদান করতে হবে এবং উক্ত অর্থ বা টাকা স্কুল-কলেজের উপবৃত্তির মত অথবা বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতার মত ব্যাংক অথবা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পরিশোধ করে প্রকৃত ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে।
এদিকে বরাদ্দের চেয়ে জেলে কার্ডের সংখ্যা বেশি থাকায় চাল বিতরণে অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায় বলে জানিয়েছেন দৌলতখানের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাসনাইন। তিনি বলেন, চাল বিতরণের তারিখগুলো ছেলেদেরকে জানানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা, মৎস্য কর্মকতা, ট্যাগ অফিসার এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ যৌথভাবে কাজ করতে হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়,
মা ইলিশের প্রজনন রক্ষায় নদীতে অভয়আশ্রম এলাকায় ১২ অক্টোবর রাত ১২টার পর থেকে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলছে, চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
নিষেধাজ্ঞাকালীন বেকার জেলেরা সরকারের কাছ থেকে ২৫ কেজি করে চাল পাবেন। তবে জেলে ও দু:স্থদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল বিতরনে অনিয়ম প্রতিরোধে মন্ত্রনালয় থেকে খাদ্য বা চালের পরিবর্তে অর্থ প্রদানের দাবি জানিয়েছেন অনেক ভুক্তভোগী জেলে এবং ভি ডব্লিউ বি (ভ্যালনারেবল ওয়েম্যান বেনিফিট) তালিকাভুক্ত দো:স্থ মহিলারা।
এ সময়ে ইলিশ মাছ আহরণ ও বিক্রি করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার ভয়ে জেলেরা উপকূলীয় এলাকায় নিজেদের পাড়াতে অবস্থান করছেন।
তবে নিষেধাজ্ঞাকালীন পরিবারের ভরন-পোষণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অনেকেই। জেলেরা জানান, তাদের যে চাল দেওয়া হয় তা খুবই নগণ্য। অনেক সময় তারা চাল পায় না। চাল বিতরণের নির্দিষ্ট তারিখ তারা অনেক সময় জানে না। তাই একাধিকবার তাদেরকে চালের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে যেতে হয়। তাই চালের পরিবর্তে তাদের একাউন্টে টাকা পেলে তারা বেশি উপকৃত হবেন এবং খাদ্যের পরিবর্তে অর্থ প্রদান করলে তারা চালসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র ক্রয় করতে পারবেন, এমনটি জানিয়েছেন জেলে পরিবারগুলে।