স্টাফ রিপোর্টার,
দৈনিক ভোলাটাইমস্ ::বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম বীর শহীদ- জুলফিকার আহমেদ শাকিলের নামে ভোলা সদর উপজেলার ১০নং ভেলুমিয়া বাজার চত্বরের নামকরণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। অদ্য ০১ ডিসেম্বর (রবিবার) দুপুর সাড়ে ১২ টায় ভোলা জেলা প্রশাসক মোঃ আজাদ জাহান ও ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীলের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন শহীদ জুলফিকার আহমেদ শাকিলের ছো ভাই মোঃ সুমন মৃধা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাকিবুল ইসলাম শাফিন, রাইদুল ইসলাম সাকিব, ঢাকা মহানগর ছাত্র ফেডারেশনের রাজনৈতিক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইয়াসিন খান, ভোলা জেলার সংগঠক তানজিল হোসেন, বরিশাল মহানগরের সদস্য মাশরুর ইউশা প্রমূখ।
সম্প্রতি গত ৪ আগস্ট ২০২৪ তারিখে ঢাকা মিরপুর-১০ নম্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি পালনকালে ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুলিতে আহত হন ঢাকা মহানগর ছাত্র ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আহমেদ শাকিল। ৭ আগস্ট বুধবার আঁগারগাওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাকিল মৃত্যুবরন করেন।
শহীদ শাকিল ভোলা সদর উপজেলার ৬নং ধনিয়া ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ড এর মৃত্যু সিদ্দিক মৃধা মা আয়শা বিবির জেষ্ঠ্য সন্তান। শাকিল কিশোর বয়সেই বাবাকে হারান একই সঙ্গে ঘরবাড়ি নদীর বুকে বিলীন হওয়াতে মা আয়শা বিবিকে নিয়ে ঢাকায় আশ্রয় নেন। শাকিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভে চারুকলা বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্মারকলিপি প্রদান পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বক্তব্য বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বরিশাল জেলা সভাপতি সাকিবুল ইসলাম সাফিন বলেন, ‘শহীদ শাকিল একটি সাম্য, মানবিক মর্যাদার বাংলাদেশ গড়তে নিজেকে জাতির মুক্তির আন্দোলনে উৎসর্গ করেছেন। সমগ্র জীবন জুড়ে প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ শাকিলের যুক্ততা ছিলো অভূতপূর্ব। শাকিল যে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শহীদ শাকিল জাতীর মুক্তির প্রশ্নে আকাতরে জীবন দিয়েছে তার বাস্তবায়নই এখন আমাদের প্রধান কাজ৷
সকল ভেদাভেদ ভুলে শহীদদের হৃদয়ে ধারন করে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আমাদের আন্দোলনরত সকল শক্তির ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ভোলার বীর সন্তান শহীদ- শাকিলকে চিরস্মরণীয় রাখতে ভেলুমিয়া বাজার চত্বরের নাম শহীদ শাকিল চত্বর করতে হবে। এভাবে প্রতি জেলা উপজেলায় রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে শহীদের স্মরণে শহিদ মিনার নির্মান করতে হবে। সারা দেশের পাড়ায় মহল্লায় যে সকল সন্ত্রাসীরা ছাত্র জনতার আন্দোলনে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে কঠোর বিচারের আওতায় আনতে হবে।