চরফ্যাশন প্রতিনিধি,
ভোলা চরফ্যাশন উপজেলার ওসমানগন্জ ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মোঃ আওলাদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন,আমি ঢাকায় চাকরি করার সময় আমার মামা মুরাদকে ব্যবসার জন্য ৮৫ হাজার টাকা দেই,কথা ছিলো মাসিক ব্যবসার একটা অংশ আমাকে দিবে, কিন্তু চার বছর শেষ হয়ে গেলেও ব্যবসার অংশ দুরের কথা আমার মূল টাকাও দিচ্ছেনা,আমি কোন উপায় না পেয়ে সমাধানের জন্য বিভিন্ন মানুষের কাছে বিচার দেই,সর্বশেষ আমার এলাকার সাবেক মেম্বার আলঙ্গীর ও স্থানীয় আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিলন হাওলাদারের মাধ্যমে একটি সালিশ বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করেন,তারিখ অনুযায়ী আজ ১৪ জুলাই রবিবার সকালে ৯ ঘটিকার সময় আমাদের বাড়িতে সালিশ শুরু হওয়ার এক পর্যায়ে আমি কথা বলার সময় মোঃ মুরাদ,মোরশেদা,লিমন,বসির আহমেদ সহ সকলে একাত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা ও বেধড়ক মারধর করেন,এসময় আমার স্ত্রী আছমা বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও বেধড়ক মারধর করেন,পরে স্থানীয় লোকজন আমাদেরকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন থানাকে অবগত করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমি আমার পাওনা টাকা ও আমাদের উপর হামলার ন্যায় বিচার দাবি করছি। এবিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ মুরাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি। উপস্থিত প্রধান সালিশ মিলন হাওলাদার জানান,সালিশ মিমাংসার মাঝ খানে হঠাৎ দুই পক্ষের কথার কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি শুরু হয়,আমি অসুস্থ তাই দরজার পাশে দারিয়ে ছিলাম,পরে লোকজন এসে আওলাদ ও তার স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। চরফ্যাশন থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ শাখাওয়াত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চিকিৎসার জন্য আহত স্বামী স্ত্রীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে,সুস্থ হলে তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।