ভোলা টাইমস।।ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসান নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবেদ চৌধুরী বিরুদ্ধে সাধারন জেলেদের চাল আত্মসাতের অভিযোগ জেলেদের পক্ষে মুরাদ পাটওয়ারী নামে একজন দুদকে আবেদন করেছে।
১৪ জুলাই মুরাদ পাটওয়ারী স্বাক্ষরিত আবেদন দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা দেয়া হয়। একই তারিখে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রধান মন্ত্রীর ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবর উক্ত বিষয়ে মুরাদ পাটোয়ারী স্বাক্ষরিত অভিযোগ দাখিল করা হয়। মুঠোফোনে মুরাদ পাটোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আবেদনে মুরাদ পাটওয়ারী লিখেছেন, ” আবেদ চেয়ারম্যান তার পছন্দমতো কিছু লোকদের মাঝে বিতরণ করে বাকিগুলো সে আত্মসাত করে। এভাবে সে অসহায় কার্ডধারী জেলেদের প্রায় ২শত টন চাল আত্মসাত করেছে।”
এদিকে মুরাদ পাটওয়ারী চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়ম তদন্ত সাপেক্ষে স্থানীয় সরকার (ইউপি) আইন ২০০৯ এর (সংশোধনী-২০১০) এর ৩৯ ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, হাসান নগর ইউনিয়নে কার্ডধারী জেলের সংখ্যা ২৮৯৯ । কিন্তু বরাদ্ধ ছিল ১৮৩০ জনের।সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তালিকাভুক্ত জেলেরা ৪০ কেজি করে ৪ ধাপে অথবা ৮০ কেজি করে ২ ধাপে চাল পাওয়ার কথা থাকলেও ৪র্থ ধাপে কোন জেলেকেই চাল দেওয়া হয়নি। এছাড়া প্রকৃত সমুদ্রগামী জেলেকে চাল না দিয়ে চেয়ারম্যান তার নিজের পছন্দমত কিছু সংখ্যক জেলের মাঝে চাল বিতরণ করে। বাকি চাল নিজেই আত্মসাৎ করে। এমন সব অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
এরপূর্বে একই অভিযোগে গত ৯ জুলাই ২০২৪ তারিখে চেয়ারম্যান আবেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে সুবিধা বঞ্চিত জেলেরা একটি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
ঐ সময় মুরাদ পাটওয়ারী ১০ জুলাই জেলা প্রশাসক বরাবর এবং ১১ জুলাই জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নিকট অভিযোগ দাখিল করেছেন।