এ.সি.ডি.অর্জুন,
দৈনিক ভোলাটাইমস্ ::দ্বীপ জেলা ভোলা’র চারপাশে নদী থাকায় এখানে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা রাতারাতি বনে যায় অর্থসম্পদের মালিক। কিন্তু মেঘনা তেতুলিয়া নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধ পন্থায় বালু কাটার ফলে প্রতিনিয়ত ভাঙ্গণের কবলে পরে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে মানুষের বসতবাড়ি, ফসলের মাঠ, হাটবাজার সহ মূল্যবান স্থাপনা। আর তাই ভোলাকে নদী ভাঙ্গণের হাত থেকে রক্ষা করার লক্ষে সেই অবৈধ ও অসাধু বালু ব্যবসায়ীদের বুরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালায় ভোলা জেলা প্রশাসন।
তারই অংশ হিসেবে রবিবার(১০ নভেম্বর’২৪) ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার তেতুলিয়া নদীতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত বা মোবাইল কোর্ট। দুপুর ১২ টা থেকে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা অভিযানে নেতৃত্ব প্রদান করেন বোরহানউদ্দিন উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মেহেদী হাসান। এ সময় তেতুলিয়া নদীর হাঁসের চর এলাকায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার অপরাধে এমবি ইফাজ ইয়াসিন ও মেরাজ এন্টার প্রাইজ নামক দুটি লোর্ড ড্রেজার মেশিন আটক করেন এবং এমবি ইফাজ ইয়াসিন লোর্ড ড্রেজার মেশিনের মালিক কাচিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ মোখলেছুর রহমান এর ছেলে মফিজকে নগদ ১ লাখ টাকা এবং মেরাজ এন্টার প্রাইজ লোর্ড ড্রেজার মেশিনের মালিক পৌর ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ জিল্লুর রহমান এর ছেলে ফাইজুল ইসলামকে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। মোবাইল কোর্টকে সার্বিক সহযোগিতা করেন মির্জাকালু নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ও বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের দুটি দল। বিষয়টি নিয়ে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রায়হান উজ্জামান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান বলেন, “শুধু বোরহানউদ্দিন নয় বরং পুরো ভোলা জেলার মেঘনা ও তেতুলীয়া নদী সহ সকল নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনকারীদের প্রতিরোধ করার লক্ষে ভোলা জেলা প্রশাসন তথা আমাদের অভিযান চলমান থাকবে”।