এ.সি.ডি.অর্জুন,
দৈনিক ভোলাটাইমস্ ::দ্বীপ জেলা ভোলা’র চার পাশে নদী থাকায় এখানে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী রাতারাতি বনে যায় অর্থসম্পদের মালিক। কিন্তু মেঘনা তেতুলিয়া নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধ পন্থায় বালু কাটার ফলে প্রতিনিয়ত ভাঙ্গনের কবলে পরে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে মানুষের ঘরবাড়ি,ফসলের মাঠ,হাটবাজার সহ মূল্যবান স্থাপনা। তাই অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। তারই অংশ হিসেবে বুধবার(৬ নভেম্বর’২৪) ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজলাধিন তেতুলিয়া নদীর চর লতিফ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালিত করেন উপজেলা প্রশাসনের একটি মোবাইল কোর্ট বা ভ্রাম্যমান আদালত। দুপুর ১২ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত চলা মোবাইল কোর্টের নেতৃত্ব প্রদান করেন বোরহানউদ্দিন উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোঃ মেহেদী হাসান। মোবাইল কোর্ট নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে পরিবহন করার অপরাধে একটি বল্গেট প্রতিনিধি মোঃ মফিজ(৪০) কে (বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুসারে) নগদ ১ লক্ষ টাকার অর্থদন্ড প্রদান করেন এবং ভবিষ্যতে অনুরুপ অপরাধ না করার মুচলেকা আদায় করে তাকে অব্যাহতি প্রদান করেন। জানা যায় মফিজ কাচিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মোকলেসুর রহমান এর ছেলে। এ বিষয়ে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে এসিল্যান্ড মেহেদী বলেন, “আমারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তেতুলিয়া নদীতে অভিযানে যাই এবং খবর পেয়ে অসাধু বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে গেলেও বল্গেট পরিবহনের সাথে জড়িত একজনকে ধরতে সমর্থ হই। কিন্তু কোন ড্রেজারের সন্ধান পাইনি। তাই বল্গেট প্রতিনিধি হিসেবে মফিজকে অর্থদন্ড প্রদান করেছি এবং যেকোন ব্যক্তি অনুরুপ অপরাধ করলে তাকে আইনের আওতায় এনে শাশ্তির মুখোমুখি করবো”। এ সময় বোরহানউদ্দিন থানার একদল পুলিশ সদস্য মোবাইল কোর্টকে সহযোগিতা করেন।