জুলাই বিপ্লবে শহিদ শাজাহানের নবজাতক ছেলে এখন ভোলা’র ডিসি পত্নীর কোলে
এ.সি. ডি. অর্জুন,
দৈনিক ভোলাটাইমস্ ::
“এখন ওর মাও আপনি বাবাও আপনি। আপনার কাঁধে এখন অনেক দায়ীত্ব। ওকে বড় করতে হবে। মানুষের মতো মানুষ করতে হবে। আমি দোয়া করি আল্লাহ যেনো ওকে নেক হায়াত দান করেন। ও আপনার কোলে সারা জীবন আলো হয়ে থাকুক। আপনার মাথার মনি হয়ে থাকুক”। জুলাই বিপ্লবে শহীদ শাজাহানের নবজাতক ছেলে ওমর কে কোলে নিয়ে দোয়ামুলক কথাগুলো বলছিলেন ভোলার জেলা প্রশাসক মোঃ আজাদ জাহান এর পত্নী ও ভোলা লেডিস ক্লাবের সভানেত্রি পাপিয়া খাতুন। তিনি রবিবার(২৯ ডিসেম্বর’২৪) বিকালে ভোলা শহরের এশিয়া ডায়াগস্টিক সেন্টারে গত ২৭ ডিসেম্বর জন্ম নেয়া শহিদ শাজাহানের নবজাতক ছেলে ওমরকে দেখতে আসেন। এসময় তিনি নবজাতক শিশুটিকে কোলে তুলে নেন এবং তার মা ও শিশুটির জন্য শীতের পোশাক, ফল,মিষ্টি ও নগদ অর্থ প্রদানসহ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি আন্তরিকতার সহিত শহিদ শাজাহান এর পরিবারের সকলের খোঁজ খবর নেন এবং তাদের ভালোমন্দ সবসময় ডিসিকে জানাতে বলেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহিদ শাজাহানের স্ত্রী ও শিশুটির মা ফাতেহা(২০) বলেন, “আমার স্বামী শাজাহান দেশের জন্য লড়াই করতে গিয়ে নিজের অনাগত সন্তানের মুখ না দেখেই দুনিয়া থেকে চলে গেছে। তাই আমার ছেলের ভবিষ্যৎ গড়ে দেয়ার দায়িত্ব সরকারের। কারন বৈষম্য বিরোধি ছাত্র আন্দোল তথা গণঅভ্যূত্থান-২০২৪ চলাকালে গত ১৬ জুলাই ঢাকার সাইন্সল্যাবের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আমার স্বামী শাজাহান”। উল্লেখ্য ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার ধলিনগর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইমান আলীর ছেলে শাজাহান ছিলেন ঢাকার বলাকা টাওয়ারের সামনের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। মারা যাওয়ার সময় তার স্ত্রী ফাতেহা প্রায় ৪ মাসের অন্তঃসত্বা ছিলেন এবং মেডিক্যাল রিপোর্টে ছেলে সন্তান আসার খবর শুনে অনাগত ছেলের নাম ওমর ফারুক রাখার জন্য তার স্ত্রীকে বলে গিয়েছেন বলে জানান তার স্ত্রী ফাতেহা। ভোলার সমন্বয়ক ও এশিয়া ডক্টরস পয়েন্টসের ম্যানেজার আরিফ চৌধুরী এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় শিশুটিকে ডিসি পত্নী পরিদর্শন করার সময় তার সাথে ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক(ডিডি)মোঃ মিজানুর রহমান এর পত্নী শাহনাজ সুলতানা, সরদ উপজেলার নির্বাহী অফিসার সজল চন্দ্র শীল এর পত্নী অনন্যা চক্রবর্ত্তী ও ভারপ্রাপ্ত এনডিসি যায়েদ হোছাইন এবং সমন্বয়ক হিমু,হাফসা ও এ্যানি সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলোন।