

মোঃ মনছুর আলম,
দৈনিক ভোলাটাইমস্ ::ভোলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের প্রধান ফটক (মেইন গেট) দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে করে হাসপাতালে আসা সাধারণ রোগী ও তাদের স্বজনদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।
হাসপাতালে প্রবেশের জন্য রোগীদের বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করতে হচ্ছে, যা সরু ও দুর্গম। ফলে হুইলচেয়ার বা স্ট্রেচারে করে রোগী আনতে হচ্ছে পেছনের গেট দিয়ে, যেখানে নেই কোনো সুনির্দিষ্ট রাস্তা বা প্রয়োজনীয় সুবিধা। এতে বিশেষ করে বৃদ্ধ, শিশু এবং গুরুতর অসুস্থ রোগীদের নিয়ে বিপাকে পড়ছেন স্বজনরা।
এ বিষয়ে রোগীদের অভিযোগ, প্রধান গেটটি খোলা থাকলে সহজেই অ্যাম্বুলেন্স ও রোগী প্রবেশ করতে পারত মেইন গেট ২টার পর বন্ধ থাকায় অনেক রুগি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে, অনেক রুগি হাসপাতাল বন্ধ মনে করে চিকিৎসা নানিয়েই বাসায় চলে যাওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এবং সাইড গেট দিয়ে রোগীকে নামিয়ে পায়ে হেঁটে ভেতরে নিতে হচ্ছে, যা অনেক সময় প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে।
ভোলা জেলা প্রশাসক মোঃ আজাদ জাহান বলেন,ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মেইন গেট ২টার পর বন্ধ করে সাইড গেট খোলা রাখায় রুগিদের ভোগান্তি হচ্ছে, বিষয়টি জানার পরেই সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলেছি হাসপাতালের মেইন গেট খুলে দেয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভোলার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃমনিরুল ইসলাম জানান, ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মেইন গেট তালা মেরে বন্ধ রাখা হয় ২টার পর যেটা আসলে কোন ভাবেই কাম্য নয়, এটা আমার নলেজে আসছে মেইন গেইট বন্ধ থাকায় অনেক রুগীরা গেট খুজে না পেয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তবে মেইন গেট খুলে দেয়ার জন্য ভোলা ডিসি মহদয় ও বলেছে এবং রুগিদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে হাসপাতালের মেইন গেট খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করবো।