

মোঃ বাবুল রানা,
দৈনিক ভোলাটাইমস্ :: ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নে মায়ের দোয়া ব্রিকস ফিল্ডে ঘটে গেছে আলোচিত এক ঘটনা। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ২১ কোটি টাকা আত্মসাত করে নিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ধাপে ধাপে এ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
আজ থাকা প্রায় ১০ বছর আগে মাত্র ৬ হাজার টাকা বেতনে চাকরি শুরু করেছিলেন জাকির হোসেন। ধীরে ধীরে আস্থা অর্জন করে টিকিট মাস্টার থেকে একে একে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারের দায়িত্ব পান তিনি। কিন্তু সেই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে গোপনে কোটি টাকার কারসাজি করে বসেন বলে অভিযোগ মালিকের।
শ্রমিকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, মালিক ব্যবসায়িক কাজে বাইরে গেলে অগ্রিম ক্যাশ মেমোতে সাইন করে রেখে যেতেন। সেই সুযোগেই কাস্টমারদের কাছ থেকে অগ্রিম দেওয়া টাকা নিজের কাছে রেখে দেন জাকির হোসেন। ধীরে ধীরে দীর্ঘ সময় ধরে এভাবে ২১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে মালিক আমির হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, “জাকির হোসেন ২০১৩ সালে আমার ব্রিকস ফিল্ডে চাকরি শুরু করে। আমি তাকে ভরসা করে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব দিই। কিন্তু সে আমার সেই বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। ক্যাশ মেমোতে অগ্রিম সাইন দেওয়া থাকত, আর সেই সুযোগেই আমার ২১ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে।”
তবে অভিযুক্ত জাকির হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ধরনের কোনো ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, এত বড় অঙ্কের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হলে এটি হবে ভোলার ইতিহাসে অন্যতম বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি। তবে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে বের করতে প্রশাসনের যথাযথ তদন্তের দাবি তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা।