

মোঃ হালিম রানা,
দৈনিক ভোলাটাইমস্ ::
ভোলা জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বদলির দাবিতে নকলনবিশরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ৫জনকে অন্যত্র বদলি এবং ৪ জনকে জেলা কার্যালয়ে আনার অভিযোগসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে এ বদলির দাবি করছে। মঙ্গলবার সকাল দুপুর থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
নকলনবীশদের কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলন কর্মসূচী পালনের কারণে দূরদূরান্ত থেকে উপকারভোগীরা রেজিস্ট্রার অফিসে এসে ফিরে যাচ্ছেন।
তবে রেজিষ্টার কৃষিবিদ মো. নুর নেওয়াজ বলেন, দলিলের জট ছাড়াতে এবং কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে তিনি নকলনবীশদের বদলি এবং আনায়ন করেছেন।
বাংলাদেশ স্টাম্প মহড়া নকলনবিশ এসোসিয়েশন ভোলা শাখার সভাপতি মোসাম্মত বিবি খাদিজা, সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমানসহ একাধিক নকলনবিশ তাঁদের অভিযোগে জানান, ভোলা রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ে তাঁরা ৫৪জন নকলনবিশ কর্মরত আছেন। একপাতা দলিল লিখলে নকলনবিশদের সরকার থেকে ২৫ টাকা দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাঁরা একটি সইমোহড় লিখলে ৩০০ টাকা পান। এভাবে দিনে ৫০০-৬০০ টাকা আয় করতে তাঁদের রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। যখন যে রেজিস্ট্রার এসেছেন, তাঁরা সুবিধামতো ২-৪ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। ভোলা সদর উপজেলায় যতো দলিল লেখা হয়, তাঁর থেকে দলিল লেখা নকলনবিশ বেশি। দলিলের নকল লিখে যাঁরা আসছেন। তাঁদের সংসার চালাতে কষ্ট হয়। তাঁদের যে আয় হয়, তাতে ঠিকমতো তাঁদের সংসার চলে না। দলিলের চেয়ে নকলকবিশ বেশি হওয়ার কারণে তাঁদের আয় দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। এ সব সমস্যার কারণে তাঁরা নতুন করে নকল নবিশ না নেওয়ার দাবিতে উচ্চ আদালতে ২০১৮ সালে রিট করেন। কিন্তু ৫ আগস্টের পরে তাঁদের আইনজীবি অসুস্থ হওয়ার কারণে শুনানীর তারিখ জানতে পারেনি�