
ভোলা প্রতিনিধি ।। ভোলা টাইমস্
ভোলা-বরিশাল সেতুসহ পাঁচ দফা দাবিতে চরফ্যাশন থেকে ঢাকা সেতু ভবনমুখী লংমার্চে অংশ নেওয়া ভোলার তরুণদের যাত্রায় বড় বাধা তৈরি হয় পদ্মা সেতু এলাকায়। সেতু কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় এবং কোনো বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে নদীপথ সাঁতরে অগ্রসর হওয়ার ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন।
এই বিপজ্জনক অভিযানের সময় সাঁতরে পার হতে গিয়ে সহযোদ্ধা নোমান গুরুতরভাবে আহত হন। প্রবল স্রোতের বিপরীতে দীর্ঘক্ষণ লড়াই করতে গিয়ে তার শারীরিক অবস্থা দ্রুত অবনতি ঘটে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, এবং অবস্থাকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে জানিয়েছেন তার সহযাত্রীরা।
লংমার্চে অংশ নেওয়া তরুণদের অভিযোগ, জনস্বার্থে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পরিচালনা করলেও প্রশাসন তাদের জন্য কোনো নিরাপদ পারাপার ব্যবস্থা করেনি। বরং সেতুতে উঠতে না দিয়ে তাদের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
লং মার্চে থাকা তরুণরা অভিযোগ করেন,
রাষ্ট্রের অবহেলা ও উদাসীনতার কারণেই নোমানের মতো একজন তরুণ আজ প্রাণসংকটে। এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব, যা আমরা পাইনি।
লংমার্চকারীরা নোমানের দ্রুত এবং উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
