ভোলাটাইমস্ ডেক্স,
ভোলায় আলতু বাহিনীর প্রধান আলতু ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে এলিট ফোর্স র্যাবের ৮ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল। ১৯/০৮/২৪ ইং ভোর ছয়টায় ভোলা সদর খেয়াঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, ভোলা সদর খেয়াঘাট এলাকায় অবস্থান করছি কুখ্যাত সন্ত্রাসী আলতু বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে গেলেও আলতু বাহিনীর প্রধান আলতু র্যাবের জালে আটক হন।জানা যায়, ভোলার চরাঞ্চলে অপরাধীদের অভয়ারণ্য ঘরে চলেছে আলতু বাহিনীর ও তার সদস্যরা। ভোলার চরে শিশু লামিয়া হত্যা মামলার অন্যতম মূল পরিকল্পনাকারী আলতু ডাকাতের গ্রেফতারে নিহত শিশু লামিয়ার পরিবারে ন্যায় বিচারের আশা সঞ্চিত হয়েছে। শিশু লামিয়ার মা রানু বেগম বলেন, আলতু ডাকাতের সদস্যরা আমার মেয়েকে যেভাবে নির্মমভাবে হত্যা করেছে আমি এর জন্য আলতু ডাকাইতে ফাঁসি চাই। রায়পুর থানার চাঁদাবাজি মামলার বাদী মোঃ বাহার উদ্দিন বলেন, আলতু ডাকাত দীর্ঘদিন থেকে আমার থেকে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছে এবং আমার কে চাষবাস করতে দেয়নি এবং হামলা করেছে অনেকে দ্রুত আহত করেছে তার ভয়ে আমরা অতিষ্ঠ তার গ্রেফতারের র্যাবকে কে ধন্যবাদ জানাই। ভোলার চরের সাধারণ কৃষক, কালাম ব্যাপারী বলেন, আলতু ডাকাতের ভয়ে আমরা কেউ চাষবাস করতে পারতাম না। আলতুকে ধরছে এজন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ।আমি চাই অন্যান্য খুনিদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা হোক। তিনি র্যাবকে কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যেন দ্রুত অন্য আসামীদের কেও আইনের আওতায় আনা হয়।
জানাযায় ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ভোলার চরে আলতু বাহিনীর ত্রিমুখী আক্রমণে মরিয়ম বিবি, জাহানারা বেগম, আব্দুল কাদের ও মিন্টু খান গুরুতর আহত হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এই ঘটনায় খালেদা খানম বাদী হয়ে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করেন। মামলা নং জিআর ৭২১/২০।এই মামলায় মোট ৪৬ জনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ভোলা সদর মডেল থানার এস আই মোঃ ফরিদ উদ্দিন। পরে মামলাটি অধিকতর তদন্ত করে ৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩৮৫/৩৪ ধারায় অভিযুক্ত করে সিআইডি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব........ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর ১০ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবিতে ভোলারচরের নিরীহ কৃষক আল আমিনের ঘরবাড়ি লুটপাট করে এবং পিটিয়ে তার স্ত্রীকে গুরুত্বতর আহত করে এবং শিশুকন্যা লামিয়াকে হত্যা করে। এরপর থেকে দীর্ঘদিন পলাতক ছিল আলতুর ডাকাতসহ অন্যান্য ডাকাতরা। বাহিনীর অন্য সদস্যরা হচ্ছে ওহাব আলী, সাদ্দাম, আলিম মাদর, সাবের মাঝি, আব্দুল কাদের, হারেস সরদার,নিজাম মাতাব্বর। এদের গ্ৰেফতারের জন্য দাবী তুলেছে চরবাসী।এছাড়াও লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থানায় দুটি চাঁদাবাজি মামলা, লক্ষীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা, একটি লুটপাট ও হত্যার চেষ্টা মামলা, হিজলা থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা, বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার একটি চাঁদাবাজি মামলা, ভোলা সদর মডেল থানায় লুটপাট ভাঙচুর শ্লীলতাহানির ঘটনায় সাতটি মামলাসহ প্রায় ১৬ টি মামলার আসামি আলতু বাহিনীর প্রধান আলতু ডাকাতের বিরুদ্ধে যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। আলতু ডাকাতের গ্রেপ্তারের সংবাদের ভোলার চরে সাধারণ মানুষের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বয়ে চলছে। সাধারণ কৃষকরা নিজেদের মধ্যে মিষ্টিমুখ করছেন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন।
সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: সমস্-উল-আলম মিঠু প্রধান
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আলী জিন্নাহ (রাজিব)
সম্পাদক: শাকের শরমিন
আইন উপদেষ্টা: আড, এম, মাহামুদ হোসেন লিটন