এ.সি.ডি.অর্জুন,

দৈনিক ভোলাটাইমস্ ::সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিটি জেলার উন্নয়ন অগ্রতি বা অবনতি সহ সকল বিষয় নিয়ে প্রতিমাসে একটি করে সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। আর সেই সভায় সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর প্রধানগণ নিজ নিজ কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে সভাকে অবহিত করেন। তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার(১৭ নভেম্বর'২৪) ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির প্রথম সভা। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোঃ মনজুর হোসেন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন ভোলার জেলা প্রশাসক মোঃ আজাদ জাহান। সভার প্রথমে সভাপতি জেলা প্রশাসক উপস্থিত সকল সরকারি দপ্তর প্রধানদের কাছে স্ব স্ব দপ্তরের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত হন। জেলার সবচেয়ে বড় এই সভায় জেলা প্রশাসক প্রথমে সরকারি সকল দপ্তর প্রধানদের কাছে সেপ্টেম্বর'২৪ মাসে নেয়া সিদ্ধান্ত গুলোর অগ্রগতি বিষয়ে শুনেন এবং কাজের গুরুত্ব অনুসারে নিজের পরামর্শমুলক নির্দেশনা প্রদান করেন। ভোলা জেলা বিএনপি,জামায়েত ইসলামী,জাতীয় পার্টি, হেফাজত ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান ভোলা জেলার যেসব বিষয় গুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন সেগুলো হলো ভোলা সরকারি স্কুলের জন্য সরকার অনুমোদিত নতুন ভবনটি পূর্ব নির্ধারিত স্থানের পরিবর্তে শহীদ মিনারের পাশে নির্মান করা এবং পুরাতন মেয়াদোত্তীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি দ্রুত ভেঙ্গে ফেলার ব্যবস্থা করা, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তার অস্থায়ী দোকানগুলো উচ্ছেদ করা, ভোলা শহরে চলা অটো রিক্সা,সিএনজি ও মিশুক জাতীয় যানবাহনের ডান দিকে তিনটি করে রড স্থায়ীভাবে লাগিয়ে ডান পাশ দিয়ে যাত্রী ওঠানামা বন্ধ করা, সদর হাসপাতালে আসা রোগীদের সেবার মান উন্নয়ন করা, জন্ম ও মৃত্যু সনদ প্রদানে শতভাগ স্বচ্চতা বজায় রাখা, বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন, ভোলা শহরের কাচাবাজার ও এর আশপাশে ফুটপাত দখল করা অবৈধ দোকানীদের উচ্ছেদ করা সহ বেশ কিছু বিষয়। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় ভোলা জেলার সার্বিক উন্নয়ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মনিরুল ইসলাম ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার, ভোলায় কর্মরত নৌবাহিনীর নবাগত কমান্ডার মোঃ আসাদুজ্জামান, ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নবাগত নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসফাউদদৌলা , জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক হাছান ওয়ারিসুল কবির, জেলা খাদ্য অফিসার মোঃ এহসানুল হক, জেলা ত্রান ও পুনঃর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন, ভোলা সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফাতেমা তুজ জহুরা সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসুল আলম,জামায়েত ইসলামীর সাধারন সম্পাদক মোঃ হারুন অর রশিদ, জাতীয় পার্টির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রতন, ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওঃ আতাউর রহমান মোমতাজি সহ সংশ্লিষ্ট সদস্যবৃন্দ। প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যাপী চলা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানী সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজল চন্দ্র শীল সহ বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী অফিসারগণ, আনসারভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট এ বি এম ফরহাদ ও জেলা প্রশাসনে কর্মরত সকল সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহ সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিগণ। উল্লেখ্য সভায় ভোলা সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফাতেমা তুজ জহুরা এর আবেদনের প্রেক্ষিত ভোলা শিক্ষা প্রকৌশলে প্রস্তাবিত স্কুলের নতুন ভবনটি পূর্ব নির্ধারিত স্থানের পরিবর্তে মাঠে স্থাপিত শহীদ মিনারের পাশে নির্মান করার বিষয়টি সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় এবং সভায় উপস্থিত ভেলা জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সালে মোহাম্মদ কে বর্তমান প্রধান শিক্ষকের প্রস্তাবিত স্থানে নির্মান করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন ডিসি আজাদ জাহান। এ সময় গত বৃহস্পতিবার(১৪ নভেম্বর'২৪) মাঠে নির্মানাধিন সুইমিং পুল নিয়ে অনাকাঙ্খিত ঘটনাটির পুনরাবৃত্তি যেনো না ঘটে সে ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন জেলা প্রশাসক। সভার শেষ দিকে ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সজল চন্দ্র শীল ও লালমোহন উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম এর পদোন্নতিজনিত বদলির জন্য উপস্থিত দুজনকেই শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন সভাপতি।