এ.সি.ডি.অর্জুন,
দৈনিক ভোলা টাইমস্::"আল্লাহর আইন চাই দ্বীন কায়েমের শপথ নিন, সৎ লোকের শাসন চাই জামায়তে ইসলামীতে যোগ দিন" এই স্লোগানকে সামনে রেখে ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ জাসায়েতে ইসলামী দলের ভোলা সদর উপজেলা কমিটির প্রতিনিধি সম্মেলন। শনিবার (৪ অক্টোবর'২৪)ভোলা জেলা পরিষদ এর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় মজলিশের শূরা সদস্য ও বরিশাল অঞ্চলের অন্যতম নেতা এ কে এম ফখরুদ্দিন রাজী। জামায়াতে ইসলামী ভোলা সদর উপজেলা শাখার আমীর মোঃ কামাল হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভোলা জেলা জামায়েতের আমীর মাস্টার জাকির হোসেন, নায়েবে আমির মাওঃ অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক কাজী হারুন অর রশিদ সহ গুরুত্বপূর্ণ নেত্রিবৃন্দ। ভোলা সদর উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক আব্দুল গাফফার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুদ্দিন খান রাজী বলেন, "বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর সকল স্তরের নেতৃবৃন্দকে অবশ্যই তাকওয়ার গুন অর্জন করতে হবে। যোগ্যতা অর্জনের সাথে সাথে আল্লাহর সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যেই সকল কাজ সম্পন্ন করতে হবে এবং সর্বাবস্থায় আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ আস্থা ও ভরসা রাখতে হবে। জামায়াতের প্রতিটি কর্মীকে হতে হবে যোগ্যতা সম্পন্ন পরহেজগার , ঈমানদার আল্লাহভীরু, পরোপকারী এবং একনিষ্ঠ সমাজসেবী ও দেশপ্রেমিক। আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার এই দাওয়াতকে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সুমহান আদর্শকে তুলে ধরতে হবে প্রতিটি মানুষের কাছে"। ভোলা সদর উপজেলা সকল ওয়ার্ড ও ইউনিট প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাষ্টার জাকির হোসাইন বলেন, "ইজ্জত দেওয়া এবং বেইজ্জত করার মালিক একমাত্র আল্লাহ। তিনি বলেন, আমরা এখানে যারা আছি সবাই আল্লাহর প্রেরিত প্রতিনিধি। এটা শুধু ভোলা-বাংলাদেশের জন্য নয় বরং সমগ্র পৃথিবী বিস্তির্ণ। সেই মনোভাব নিয়েই আমাদের কে ময়াদানে দ্বীন বিজয়ের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে"।
বিশেষ অতিথি শাহ হারুন অর রশিদ, প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিচালনা সহ ওয়ার্ড এবং ইউনিট কে সংগঠিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন,"ওয়ার্ড-ইউনিট সভাপতিদেরকে ব্যক্তিগত সকল কাজের মাঝেও দ্বীনের এই মহান দায়িত্বকে সঠিক ভাবে আঞ্জাম দেওয়ার জন্য সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। নিজেদের ও সংগঠনের ভারসাম্যপূর্ণ কাজের সমন্বয় করতে হবে। একই সাথে আমাদেরকে বহুবিধ যোগ্যতা ও সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। ইকামাতে দ্বীনের একাজে একনিষ্ঠ হয়ে সবার কাছে সংগঠনের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। সফলতা ও বিপ্লবের জন্য একটি সুদৃঢ় ক্ষেত্র প্রস্তুত করা খুব জরুরী। ইসলামী আন্দোলনের পথে বাঁধা আসবে এটা স্বাভাবিক। সকল কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করেই ইসলাম বিজয়ী হয়েছে। খোদাভীতি, মেধা, প্রজ্ঞা ও বিবেকবোধের আলোকে নিজেকে ও সংগঠনকে পরিচালনা করতে পারলেই কেবল আমাদের প্রতিটি স্তরের সাফল্যের পাশাপাশি পরকালীন মুক্তি লাভ সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ"। অধক্ষ্য নজরুল ইসলাম বলেন,"দায়িত্বশীলদের নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। এক হাদিসে হজরত ইবনে ওমর (রা.) বলেছেন, তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল আর তোমরা প্রত্যেকেই তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। তেমনি জনগণের আমীরও একজন দায়িত্বশীল সে তার প্রজাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। তিনি বলেন, "একজন পুরুষ তার পরিবারস্থ লোকদের ব্যাপারে দায়িত্বশীল সে তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন স্ত্রীলোক তার স্বামীর ঘরের তত্ত্বাবধায়ক সে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবেন। গোলাম তার মালিকের ধন-সম্পদের ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক এতদ্বিষিয়ে সে জিজ্ঞাসিত হবে। শোন তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল আর তোমরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। এ জন্য আমরা দায়িত্বশীল হিসাবে আমাদেরকে সব সময় সজাগ থাকতে হবে। এর কোন বিকল্প নাই। দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য সহ ইউনিয়ন ইলিশা আমীর মাওঃ ছালাহ্উদ্দিন, রাজাপুর আমীর আমিরুল মূমিন মানিক,কাচিয়া আমীর মাওঃ আবুল খায়ের,বাপ্তা আমীর মাষ্টার আব্দুস ছালাম,ভেলুমিয়া আমীর মাষ্টার ইউনুস আলী,ভেদুরিয়া আমীর মাওঃ হাছনাইন,ধনিয়া সভাপতি মনিরুল ইসলাম, পশ্চিম ইলিশা আমীর আঃ মান্নান, আলী নগর সভাপতি কাজী কবির, উঃ দিঘলদী আমীর সেকান্তর আলী, দঃ দিঘলদী আমীর অধ্যাপক মহসিন
ইউনিয়ন সেক্রেটারিগন সহ সকলস্তরের দায়িত্বশীলগন।