এ.সি.ডি.অর্জুন,
দৈনিক ভোলাটাইমস্ ::
বর্তমান সমাজে যেখানে প্রতিদিন অসংখ্য বিবাহ বিচ্ছেদের মাধ্যমে ভেঙ্গে যাচ্ছে সুখের সংসার, নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেই ডিভোর্সি পিতা-মাতার সন্তানের জীবন। সেখানে ভোলার জেলা প্রশাসক মোঃ আজাদ জাহান শুধুমাত্র সুপরামর্শের মাধ্যমে গড়ে দিলেন প্রায় ভাঙ্গার দারপ্রান্তে দাড়িয়ে থাকা একটি সংসার। বুধবার(১৫ জানুয়ারি) ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিয়মিত গণশুনানির মাধ্যমে এই কঠিন কাজটি সফল ভাবে করেন ভোলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। নিয়মানুযায়ী সপ্তাহের প্রতি বুধবার জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত পারিবারিক ও সামাজিক নানান সমস্যাগ্রস্থ মানুষের কথাগুলো শুনার জন্য গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয় ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে। সেই শুনানিতে নিজেদের পারিবারিক সমস্যার কথাগুলো জেলা প্রশাসকের কাছে ব্যক্ত করেন ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার বাসিন্দা ৩৪ বছর বয়সি রহিম ও ৩০ বছর বয়সি রহিমা(উভয়ের ছদ্ধ নাম) দম্পতি। শুনানির শুরুতে ৩ সন্তানের এই জনক-জননীর বিচ্ছেদমূলক সিদ্ধান্তের কথা শুনে প্রথমে ডিসি দুঃচিন্তায় পরলেও হাল না ছেড়ে তাদেরকে নিজের সারাজীবনে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আলোকে বুঝাতে চেষ্টা করেন ভোলা জেলা প্রশাসনের প্রধান আজাদ জাহান। সন্তানের ভবিষ্যৎ ও পারিপার্শিক বাস্তবতার নিরিখে দীর্ঘক্ষণ বুঝানোর পর অবশেষে শিক্ষিত রহিম-রহিমা তাদের ভুলগুলো বুঝতে পেরে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে সুখে-দুঃখে আজীবন একত্রে থাকার সিদ্ধান্তে অবতীর্ণ হন এবং লিখিত অঙ্গিকার করে হাসি মুখে বাড়ি ফিরে যান। এ বিষয়ে নিজেদের অনুভূতি জানতে চাইলে নব-সংসারমুখী দম্পতি বলেন, "আমারা যখন নিজেদের সাংসারিক সমস্যাগুলোর সমাধান করার জন্য একমাত্র বিবাহ বিচ্ছেদকেই বেছে নিয়েছিলাম তখন ডিসি স্যারের স্মরনাপন্য হয়ে বুঝলাম যে, পরস্পর পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ, ভোলোবাসা ও সন্তানের প্রতি দায়িত্ববোধ থাকলেই সংসার সুখের করা যায়। তখন আর বিচ্ছেদের চিন্তা মাথায়ও আসেনা। আমরা চাই কেউ বিবাহ বিচ্ছেদের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়ার পূর্বে অন্তত ডিসির গণশুনানিতে একবার আসুক"। এ সময় তাদের সিদ্ধান্তে খুশি হয়ে ভোলা জেলার সর্বোচ্চ অভিভাবক ডিসি সেই দম্পতিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। শুনানির সময় উভয়ের আত্বীয়-স্বজন ও জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: সমস্-উল-আলম মিঠু প্রধান
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আলী জিন্নাহ (রাজিব)
সম্পাদক: শাকের শরমিন
আইন উপদেষ্টা: আড, এম, মাহামুদ হোসেন লিটন