
ভোলা প্রতিনিধি ।। ভোলা টাইমস্
দৌলতখান পৌরসভার ময়লা ফেলে /অর্থাৎ কোথাও নির্দিষ্ট জায়গা না থাকার কারণে উপজেলা সংলগ্ন বেতুয়া খালে প্রতিদিন ময়লার গাড়ি এনে খালের দুই পাশে এবং ব্রীজের উপর থেকেও ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা।দৌলতখান উপজেলায় বেতুয়া খাল একসময় বেতুয়া নদী নামে পরিচিত ছিল।ময়লা-আবর্জনায় এখন ভরাট হয়ে যাচ্ছে বেতুয়া খালের দুই পাস।কয়েক বছরের ব্যবধানে অনেকাংশে ভরাট করে ঘর-বাড়িও নির্মান করেছে।তাই আস্তে আস্তে খালের দুই পাশ থেকে ভরাট হয়ে যাচ্ছে ও পানি নিষ্কাশনের সমস্যা এবং রোগ ছড়ানোর জন্য ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করেছে।ময়লা ফেলার সময় স্থানীয়রা বাধা প্রদান করে বলে জানা গেছে।কিন্তুু কোথায় ফেলবে এই জমিয়ে থাকা ময়লা-আবর্জনা?পৌরসভায় নেই কোন ফাঁকা জায়গা।
স্থানীয়রা বলেন,আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন পৌর মেয়র জাকির হোসেন তালুকদারকে অনেকবার বলা হয়েছে তিনি কোন ভুমিকা নেয়নি।ময়লা ফেলে এখানকার পরিবেশ দূষিত করা হচ্ছে এবং খাল দিন দিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে।আমরা অনেক সময় দেখি রাতে ও এই খালে ময়লা ফেলা হচ্ছে।কিছু বললে তারা বলেন আমাদেরকে পৌরসভা থেকে বলছে তাই আমরা এখানে ময়লা ফেলছি।এই ময়লা পানির সাথে ভেসে ভেসে বিভিন্ন এলাকায় রোগ ছড়াচ্ছে এবং ময়লার দূর্গন্ধে হাটা চলা করতে অসুবিধা হচ্ছে।এমনকি উপজেলা গুরত্বপূর্ন স্থান তার পাশেই এমন কান্ড,ফ্যামিলি বাসা,মডেল মসজিদ গুরত্বপূর্ণ অফিস শিশু সহ হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত এই পথ দিয়ে।
আমরা আর সহ্য করতে পারছি না,এখান দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে না,এবং এই খাল ভরাট হয়ে গেলে সাধারণ মানুষের অনেক বড় সমস্যা হতে পারে।তাই উপজেলা প্রশাসন যেভাবে হোক ময়লা ফেলার জন্য দূরে কোথাও যেন /অর্থাৎ যেখানে কোন মানুষ বসবাস করে না -সেখানে একটি নির্দিষ্ট জায়গা করে দেয়।
তা’না হলে আমরা স্থানীয়রা এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করতে বাধ্য হব।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি অফিসার নিয়তি রানী কৈরী বলেন,বিষয়টি আমার নজরে রয়েছে,মানুষের অনেক অসুবিধা হচ্ছে এবং পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, এই গুরুত্বপূর্ণ খাল ভরাট হতে দিব না,পৌরসভায় কোথায় ও কোন ফাঁকা জায়গা নেই, তাই ময়লা গুলো এখানে ফেলতে হচ্ছে। আমি পৌরসভার মধ্যে এবং পৌরসভার বাহিরে ফাঁকা জায়গা খুজতেছি এখনো পাইনি পেলেই এখানে দ্রুত ময়লা ফেলা বন্ধ করে দিব।
