

চরফ্যাশন প্রতিনিধি,
দৈনিক ভোলা টাইমস:: ভোলা চরফ্যাসনে মামলা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রাস্তা থেকে অপহরন করে নিজাম উদ্দিন (৩৫) নামের মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গাড়ী চালককে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টায় অভিযোগ উঠছে।সুত্র জানায় চরফ্যাশন উপজেলার সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দুরের একটি চিতায় নিয়ে মাধরের পর হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দুলারহাট ঈদগাহ জামে মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক ইমতিয়াজ হোসেন ফয়েজ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানা ঈদগাঁও মাঠ সংলগ্ন এলাকা থেকে তুলে নিয়ে জিন্নাগর ইউনিয়নের দাসকান্দি গ্রামের একটি চিতাখলায় মারধর করে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়।এসময় তার চিৎকারের স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এলে হামলাকারীরা তাকে সঙ্গাহীন অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান। পরে তিনি ও স্থানীয়রা জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে সহযোগিতা চান। তবে পুলিশ না গেলেও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাতেই চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত নিজাম উদ্দিন জানান, গত ৫ মার্চ দুলারহাট কেন্দ্রীয় ঈদগাহ সমজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক ইমতিয়াজ হোসেন ফয়েজ সমজিদের মুসল্লিদের ফুসিয়ে তুলে রাতের আধারে তার বসত ঘর বাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দেন। এনিয়ে তিনি কর্মস্থলে থাকায় তার স্ত্রী ও তার ভাই নুরুল আমিন শাহ বাদী হয়ে ইমতিয়াজ হোসেন ফয়েজসহ ৫ জনকে আসামী করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা দায়েরের পর ক্ষিপ্ত হন ইমতিয়াজ হোসেন ফয়েজসহ স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীরা।
ইমতিয়াজ হোসেন ফয়েজ মামলা তুলে নেয়ার জন্য তাদের পরিবারের সদস্যদের একাধিক বার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন। ঈদের ছুটিতে মঙ্গলবার আহত নিজাম উদ্দিন কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। দুলারহাট থানার চর তোফাজ্জল গ্রামের তার বাড়ি সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে আসার পথে ইমতিয়াজ হোসেন ফয়েজসহ ৪/৫ জনের একটি চক্র তাকে সড়কের ওপরে আটক করেন। এবং তার চোখ বেধে বেদড়ক মারধরের পর মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যান। প্রায় ৩০ মিনিট পর তিনি দেখতে পান জিন্নাগড় ইউনিয়নের দাসকান্দি এলাকায় একটি হিন্দু সম্প্রদায়ের চিতার ভিতরে তিনি পরে আছেন। এসময় অপহরনকারীরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য তাকে একাধিক বার মারধর করে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেন। তাদের মারধরে তিনি ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এলে ওই চক্র তাকে ফেলে চলে যান। তিনি আরো অভিযোগ করেন, তাকে উদ্ধারে তিনি স্থানীয়দের চেষ্টায় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোনে দিলে থানা পুলিশ তাকে কোন সহায়তা করেননি। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে তার স্বজনরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। ভুক্তভোগীর ভাই স্বাস্থ্য পরিদর্শক নুরুল আমিন শাহ জানান, তাদের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি এবং তার ভাইয়ের স্ত্রী পৃথক দুটি মামলা করায় প্রতিপক্ষ ইমতিয়াজ হোসেন ফয়েজ মামলা তুলে নিতে তাকে প্রায় সময় হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন। তাদের পরিবারের মধ্যে আতংক ছড়াতে তার ভাই নিজাম উদ্দিনকে অপহরন করে হত্যার চেষ্টা করেন ওই চক্র। যাতে ভয়ে আতংকে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা গুলো তুলে নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে ইমতিয়াজ হোসেন ফয়েজসহ তার বাহিনীকে আইনের আওয়াতায় এনে শাস্তির দাবী জানান তিনি। দুলারহাট ঈদগাহ মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক ইমতিয়াজ হোসেন ফয়েজ জানান, তারা অহেতুক আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তাকে তুলে নিয়ে হত্যার চেষ্টার বিষয় সঠিক নয়। দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.আরিফ ইফতেখার জানান, এঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।