
ভোলায় প্রাণ নাশকের ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বব স্ট্যাম্পের পর মামলা করায় বাবা-ছেলেকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কয়েক ঘন্টা আটকে রেখে মধ্য যুগিও কায়দায় বরর্ব নির্যাতন করে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে পুলিশের সহযোগীতায় ঘন্টা ব্যাপী অভিযান চালিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎখনিক অভিযুক্ত রায়হান,ছাইদুল ও ইয়ামিনসহ তিন জনকে আটক করেছেন।
আহতরা হলেন, সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের শাহমাদার গ্রামের গোলদার বাড়ির আবুল কামাল (৬৩) ও তার ছেলে মো: উজ্জল (৩৬)।
গতকাল সোমবার রাতে ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা এলাকার মুন্সি বাড়িতে তাদের আটক রেখে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ আহতদের।
আহতরা অভিযোগ করে জানান, জমি জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রায় দুই মাস আগে তাদের বাবা-ছেলেকে রাস্তা থেকে তুলে এনে ভয়ভীতি দেখিয়ে পাশবর্তী এলাকার বিল্লাল, মাসুদ , হারুন গংরা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদাদাবী করেন। এরপর তারা আদালতে মামলা করলে ক্ষিপ্ত হন। এঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার রাতে তাদের স্থানীয় তেমাথা এলাকা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় বিল্লাল, মাসুদ , হারুন, রায়হান, ইয়ামিন সাইদুল ও আবু গংসহ ১৫/১৭ জন। পরে বাপ্তা এলাকার মুন্সি বাড়িতে আটকে বেঁধে রেখে রড, লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মধ্য যুগিও কায়দায় বরর্ব নির্যাতন চালান। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশের সহযোগীতায় ঘন্টা ব্যাপী অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের আত্মীয় স্বজনদের সহযোগীতায় ভোলা ২৫০।শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। ঘটনার জড়িতের অভিযোগে পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে রায়হান, ছাইদুল ও ইয়ামিনসহ তিন জনকে আটক করে পুলিশ। এঘটনায় জরিতদের উপযুক্ত বিচারের দাবী করেন তারা।
এব্যাপারে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ ও ফোন করলে তাদের পাওয়া যায়নি।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মনিরুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় পুলিশ রাতেই তিনজনকে আটক করেছে। বাবা-ছেলের পক্ষ থেকে ভোলা মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন। বকীদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
