

স্টাফ রিপোর্টার,
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলন দমনে অর্থদাতা ও একে ট্রেডার্সের চেকের মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হোসেন মিজানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেল করা হয়। শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলন করেন রাজধানীর সেগুনবাগিচার বাসিন্দা ও এ কে ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী এম এম এ কাদের। লিখিত বক্তব্য এম এম এ কাদের জানান, ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম এম এ কাদের খানের নিজের বাড়ির সাবেক দারোয়ান হোসেন মিজান কৌশলে অর্থ আত্মসাৎ করে ব্যবসায়ী পরিবারকে হত্যার পরিকল্পনা ও একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। হোসেন মিজান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অর্থ যোগান দাতা ফ্যাসিসটের দোষর নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধির গঞ্জ থানার হত্যা মামলার পলাতক আসামি ও এ কে ট্রেডার্সের চেকের মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। হোসেন মিজান জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে হয়রানি করছে বলে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ী এম এম এ কাদের। তিনি নথিপত্র দেখিয়ে অভিযোগ করেন, আমার বাড়ির সাবেক দারোয়ান হোসেন মিজান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়কার ঘটনায় আমাদের মিথ্যা দোষী সাজিয়ে ১৪টি মামলা করেছেন। এসব মামলায় আমার সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকেও আসামি করা হয়েছে, অথচ আমার ছেলে মোস্তফা নবী ফাইয়াজ যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছে এবং দেশে থাকতেও ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করেছে সে কখনো ছাত্রলীগ করার প্রশ্নই আসে না। সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী এম এম এ কাদের বলেন, একের পর এক ষড়যন্ত্র করে উপায়ান্ত না পেয়ে আমাকে আওয়ামী লীগ নেতা এবং আমার ছোট ছেলে মোস্তফা নবি ফাইয়াজকে ছাত্রলীগের নেতা সাজিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার সঙ্গে হত্যা মামলার আসামিদের তালিকায় নাম দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি মামলা থানা পুলিশ কোর্টে ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে ওই মামলা সাজানো এবং মিথ্যা। আর বাকি ৫টি মামলার বাদীর সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। আমি এবং আমার ছেলেরা কেউই জীবনে কোনও দিন কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই। হোসেন মিজান আমাকে নানাভাবে সন্ত্রাসীদের দিয়ে হত্যার হুমকিও দিচ্ছে। তার হুমকিতে বর্তমানে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এম এম এ কাদের আরো বলেন, ১৯৯৮ সালে হোসেন মিজানকে আমি আমার বড় ভাইয়ের অনুরোধে সেগুনবাগিচায় আমার বাড়িতে দারোয়ানের চাকরি দেই। পরে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও কাজ করেছে। পরবর্তীতে সে নিজেই ঠিকাদারি সনদ জোগাড় করে এবং নিজে ব্যবসা শুরু করে। ঠিকাদারি কাজের জন্য হোসেন মিজানের মূলধন না থাকায় স্ট্যাম্প চুক্তিপত্র করে ব্যবসায়িক লভ্যাংশ দেয়ার শর্তে আমার কাছ থেকে কয়েক ধাপে ২০০৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে টাকা নেয় এবং হিসাব করে করে আমাকে বিভিন্ন তারিখের তার স্বাক্ষর করা চেক দেয়। চেকগুলো ডিজঅনার হলে আমি প্রথমে উকিল নোটিশ এবং পরে মামলা দায়ের করি। এরপর হোসেন মিজান একের পর এক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারের অন্য সদস্যদের হত্যার হুমকি দেওয়া শুরু করে। তিনি বলেন, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাকিমুদ্দিন ইউনিয়নে হোসেন মিজানের এক পালিত সন্ত্রাসী পাভেল হাওলাদারকে কনট্রাক্ট দেয় আমাকে ও আমার পরিবারের সবাইকে শেষ করে দিতে। বিনিময়ে পাভেল পাবে হাকিমুদ্দিনে একটি দোতলা বাড়ি, ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় একটি ফ্ল্যাট। বিএনপি নেতা পরিচয় দেয়া সন্ত্রাসী পাভেলের গ্রামের বাড়ি হাকিমুদ্দিন ইউনিয়নে হলেও সে ঢাকায় বসবাস করে। বিভিন্ন সময় আমি কোর্টে সাক্ষি দিতে গেলে এই পাভেল দলবল নিয়ে কোর্টে গিয়ে আমাকে এবং মামলার অন্যান্য সাক্ষীদেরকে সাক্ষী দিতে বাধা দেয় এবং আমাদের হত্যার হুমকি দেয়। পাভেল আগে নিজেকে ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে আমাকে ভয়ভীতি দেখাত, গত বছরের ৫ আগস্টের পর বর্তমানে সে নিজেকে বিএনপি নেতা বলে পরিচয় দেয়। আমার শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা, আমি আপনাদের মাধ্যমে এ বিষয়ে মাননীয় আইন উপদেষ্ঠা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যেনো আমি যথাযথ আইনি সহায়তা পাই।