
দৌলতখান প্রতিনিধি,ভোলা টাইমস
দৌলতখানে জমি-জমাকে কেন্দ্র করে অন্তঃসত্তাকে আঘাত করার কারণে তার পেটে থাকা ভ্রুণ এর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ একই বাড়ির রহিজল সরদারের বিরুদ্ধে।শুক্রবার(২৬ডিসেম্বর)দুপুর ২টার সময় জমি-জমাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের কথা কাটাকাটি হয়।এমন সময় অন্তঃসত্তা সুরমার মায়ের গালে থাপ্পর দেন একই বাড়ির রহিজল সরদার।অন্তঃসত্ত্বা সুরমা তার প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে লাথি এবং ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ রহিজল সরদারের বিরুদ্ধে।এমন সময় স্থানীয় লোজন সুরমাকে দ্রুত দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স এ নিয়ে যায়।দৌলতখান হাসপাতলের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে অন্তঃসত্ত্বার ভ্রুণ এর হার্টবিট নেই বলে জানান।ডাক্তার দ্রুত অন্তঃসত্ত্বা সুরমাকে ভোলায় রেফার করেন।ভোলা গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরীক্ষা করে অন্তঃসত্ত্বার ভ্রুণ মৃত ঘোষণা দেন এবং দ্রুত ডেলিভারী করার জন্য অনুমতি দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,রহিলজল সরদার এর সাথে এবং অন্তঃসত্ত্বা সুরমার পরিবারের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে জমি নিয়ে ঝামেলা চলতেছে।রহিজল এর বাড়ি রাস্তার দক্ষিন পাশে এবং অন্তঃসত্তা সুরমার বাড়ি রাস্তার উত্তর পাশে।রহিজল সরদার সৈয়দপুর ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।সুরমার বাড়ি সৈয়দপুর ৩ নং ওয়ার্ডে বলে জানান।রহিজল সরদার সুরমার বাড়িতে এসে গালাগালি এবং করে,সাথে তার তিন ছেলে এবং পুত্রবধূ ছিল।সুরমার মাকে থাপ্পর দিলে সুরমা প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে আঘাত করে।
অভিযুক্ত রহিজল সরদার এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সুরমার মাকে থাপ্পর দিয়েছি কিন্তুু অন্তঃসত্ত্বা সুরমার গায়ে হাত দেইনি।
এব্যাপারে দৌলতখান থানায় অভিযোগ হয়েছে কিনা ভারপ্রাপ্ত (ওসি)সাইফুল ইসলাম সিকদার এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এখনো কোন অভিযোগ পাইনি,অভিযোগ পাইলে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
