
মোঃ বাবুল রানা :
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থের ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ। এ সাক্ষাৎ ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন প্রত্যাশা ও সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরেই আন্দালিব রহমান পার্থ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকার জন্য পরিচিত।স্বচ্ছ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মতে, তার সুস্পষ্ট অবস্থান, সাহসী বক্তব্য এবং সময়োপযোগী দিকনির্দেশনা তাকে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে।
প্রায় এক যুগ আগে বাংলাদেশ সংসদে দাঁড়িয়ে দেওয়া এক বক্তব্যে আন্দালিব রহমান পার্থ বলেছিলেন, “তারেক রহমান বীরের বেশে বাংলাদেশে ফিরে আসবেন।” সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকে কেন্দ্র করে তার সেই বক্তব্য নতুন করে আলোচনায় এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, সময়ের পরিক্রমায় রাজনৈতিক বাস্তবতা ধীরে ধীরে সেই দিকেই অগ্রসর হচ্ছে।
সাক্ষাৎ পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় রাজনৈতিক মহলের একাংশ এটিকে গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের একটি ইতিবাচক বার্তা হিসেবে দেখছেন। অন্যদিকে, সমর্থকদের মধ্যে এ নিয়ে দেখা গেছে ব্যাপক আগ্রহ ও আশাবাদ।
আন্দালিব রহমান পার্থ বরাবরই রাজনৈতিক শিষ্টাচার, গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার নিয়ে কথা বলে আসছেন। তার বক্তব্যে সহিংসতার পরিবর্তে রাজনৈতিক সচেতনতা ও সাংবিধানিক ধারার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। যুবসমাজ ও বুদ্ধিজীবীরা মনে করছেন, এ ধরনের দিকনির্দেশনা ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
তারেক রহমান ও আন্দালিব রহমান পার্থের এই সাক্ষাৎ শুধু একটি আনুষ্ঠানিক নয়, বরং এটি দেশের চলমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। আগামী দিনে এর প্রভাব কীভাবে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিফলিত হয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
