
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল গৃহবধূর লাশ। শনিবার উপজেলার ওমরপুর ইউনিয়নের জনতা বাজার এলাকার নাজিম উদ্দিনের বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী ও তার পরিবার পলাতক রয়েছেন। নিহতের পরিবারের দাবি, নির্যাতন সইতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে ওই গৃহবধূ।
নিহত ওই গৃহবধূর নাম সাদিয়া বেগম (৩২)। দুই সন্তনের এ জননী জনতা বাজার এলাকার নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের কর্তার হাট এলাকায়।
সাদিয়ার মা ইয়ানুর বেগম জানান, ১০ বছর আগে পারিবারিকভাবে নাজিমের সঙ্গে সাদিয়ার বিয়ে হয়। দুই সন্তান জন্মের পর থেকে এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে নাজিমের। এক বছর আগে ওই নারীকে গোপনে বিয়ে করেন তিনি। চার মাস আগে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপর থেকে নাজিম ও সাদিয়ার মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এ নিয়ে স্ত্রী সাদিয়াকে মারধর করতো নাজিম।
তিনি বলেন, ‘এক বছর যাবৎ নাজিম তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে ঢাকায় থাকে। আমার মেয়েকে সংসার থেকে বিতাড়িত করতে জামাতার ইন্দনে তার মা রাজিয়া বেগম, বোন নাজমা, আকলিমা, তাসলিয়া ও দেবর নুরে আলম প্রায়শ মারধর করতো। স্বামীর পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন সইতে না পেয়ে মেয়ে বিষপান করে। পরে নাজিমের পরিবারের সদস্যরা তাকে ঘরে ফেলে রেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে এসে মেয়ের লাশ উদ্ধার করি।’
নিহত সাদিয়া বড় ভাই জানান, বোনের স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে প্রায়শ তাকে মারধর করত। এসব বিষয় বোন সাদিয়া তাকে জানাতো। শনিবার তাকে মারধরের পর বোন বিষয়টি তাকে জানিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত স্বামী ও তার পরিবারের বক্তব্য নিতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
চরফ্যাশন থানার ওসি মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’