
এ.সি.ডি.অর্জুন,
দৈনিক ভোলাটাইমস্ ::১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে চুড়ান্ত বিজয়ের পূর্বেই ১০ ডিসেম্বর ভোলাকে পাক হানাদার মুক্ত করেছিলো বীর মুক্তিযোদ্ধারা। দীর্ঘ ৯ মাস ব্যাপী পাকিস্থানী বর্বর আর্মিদের বিরুদ্ধে চলা মুক্তির সংগ্রামে সেদিন ঝাঁপিয়ে পরেছিলো ভোলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা। আর সেই বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্যই প্রতি বছরের ১০ ডিসেম্বরকে ভোলামুক্ত দিবস হিসেবে পালন করে ভোলার মুক্তিযোদ্ধা সহ সকল মানুষ। মঙ্গলবার(১০ ডিস্বর’২৪) দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সকাল সারে ১০ টায় অনুষ্ঠিত হয় একটি বর্নাঢ্য রেলি। ভোলার জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া রেলিটি শহরের মুল সড়ক প্রদক্ষিণ করে যাত্রাস্থানে এসে শেষ হয়। ভোলার জেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত রেলি শেষে অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা সভা। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ আজাদ জাহান। সভাপতির বক্তব্যে ডিসি আজাদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা জীবন বাজি রেখে পাকহানাদারদের সাথে যুদ্ধ করেছেন বলেই আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হওয়ার গৌরব অর্জন করতে পেরেছি। তাই আপনারাই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিন বাঙ্গালি জাতি আপনাদেরকে শ্রদ্ধার সহিত স্মরন করবে। ডিসি আরো বলেন, আপনাদের সংগ্রামকে অনুস্মরন করেই গত ৫ আগস্ট’২৪ ছাত্র জনতা সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান করে সফল হয়েছে। তাই সেই যুদ্ধেও যারা শহিদ হয়েছেন তাদের প্রতি জানাচ্ছি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা”। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউল হক এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় ভোলা মুক্ত দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ শরীফুল হক, ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মনিররুজ্জামান, বীর মুক্তি যোদ্ধা ও ভোলা পৌরসভার সাবেক মেয়র এবং জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক শফিউর রহমান কিরন, বীর মুক্তি যোদ্ধা ও ভোলা জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি এবং জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভোলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ শাজাহান এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আব্দুর সোবাহান এর ছেলে মোঃ হুমায়ুন কবির কামাল। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম এর পবিত্র কোরান তেলাওয়াত এর মাধ্যমে শুরু হওয়া সভার প্রথমেই শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরনে দারিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করেন উপস্থিত সকলে। এ সময় জেলা প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তা সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ এবং সকল বীরমুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানগণ উপস্থিত ছিলেন।